![]() |
About Google Workspace in Bangla |
গুগল ওয়ার্কস্পেস কি? এর ব্যবহার ২০২৫ : গুগল ওয়ার্কস্পেস হল গুগলের একটি ক্লাউড-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভীষণ ভাবে ব্যবহার করা হয়।এটি জিমেইল, মিট, ড্রাইভ, ডক্স, শীট এবং স্লাইডসহ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিষেবাগুলির একটি সংগ্রহ।
আজকে এই লেখাতে
গুগলের এক খুব জনপ্রিয় ও ব্যবহার যোগ্য একটি পরিষেবা সম্বন্ধ্যে জনাব।গুগল ওয়ার্কস্পেস
কি?গুগল ওয়ার্কস্পেস কোন কাজে ব্যবহার হয়?এর সুবিধা ইত্যাদি।
গুগল ওয়ার্কস্পেস কি? - What is Google Workspace in Bangla
Google Workspace হল একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যা বিভিন্ন কাজ এক জায়গায় এনে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
এটি একটি অনলাইন প্রোডাক্টিভিটি এবং সহযোগিতা অ্যাপ্লিকেশনের সংকলন।
এটি প্রথমে Google Apps for Your Domain নামে ২০০৬ সালে চালু হয় এবং পরে ২০১৬ সালে G Suite নামে পুনরায় ব্র্যান্ড করা হয়।
২০২০ সালের ৬ অক্টোবর, গুগল এই অ্যাপগুলির নাম Google Workspace নাম দেয় এবং নতুন নতুন বৈশিষ্ট্যর সাথে প্রয়োজনীয় এপ্লিকেশন নিয়ে আসে।
Calendar
Drive
Docs
Forms
Chat, Meet ইত্যাদি হলো Google workspace এর এপ্লিকেশন।
G Suite এবং Google Workspace কি?
G Suite এবং Google Workspace হলো গুগলের একই পরিষেবার দুটি ভিন্ন সংস্করণ।
Google Workspace হলো G Suite-এর নতুন এবং উন্নত সংস্করণ। ২০২০ সালে Google Workspace নামে G Suite কে নিয়ে আসে।
Google Workspace হলো G Suite-এর আধুনিক এবং উন্নত সংস্করণ। এটি আরও ভালো ইন্টিগ্রেশন, নতুন ফিচার, এবং উন্নত সিকিউরিটির সাথে ব্যবহারকারীদের কাজ সহজ এবং দ্রুত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
গুগল ওয়ার্কস্পেস কি ফ্রী ?-Google Workspace Plans
গুগল workspace কে ব্যাবহার করার জন্য গুগোল ১৪ দিনের জন্য ফ্রী পরিষেবা দেয়।পরবর্তী সময়ে আপনাকে কিছু টাকা নেয় ।
Business Starter প্ল্যানের খরচ 136.90 প্রতি মাসে এক বছরের জন্য।
এই প্ল্যানে আপনি পাবেন:
● কাস্টম এবং সুরক্ষিত ব্যবসার ইমেইল
● ১০০ জন অংশগ্রহণকারী পর্যন্ত ভিডিও মিটিং
● প্রতি ব্যবহারকারীর জন্য ৩০ GB শেয়ারড
স্টোরেজ
● Gemini
অ্যাপ (এআই সহকারী), যা
উন্নত সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি প্রদান করে
● নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ
● স্ট্যান্ডার্ড সাপোর্ট
ইন্টারনেট ছাড়া কি গুগল ওয়ার্কস্পেস ব্যাবহার করা হয়?
হ্যাঁ, Google Workspace ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও কাজ করতে পারে।
Gmail offline ফিচারের মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট ছাড়া আপনার ইমেইল পড়তে, উত্তর দিতে, মুছতে এবং সার্চ করতে পারবেন। এছাড়া, Google Drive-এ সংরক্ষিত ডকুমেন্টও আপনি অফলাইন অবস্থায় দেখতে এবং এডিট করতে পারবেন, যার ফলে আপনি যে কোনো জায়গা থেকে উৎপাদনশীল থাকতে পারবেন।
গুগল ওয়ার্কস্পেস ব্যবহারের সুবিধা কী?
গুগল ওয়ার্কস্পেস হল এমন একটি অনলাইন টুলসের সমষ্টি, যা ব্যক্তিগত এবং পেশাগত কাজের জন্য খুবই কার্যকর। এটি ব্যবহার করে সহজে এবং দ্রুত কাজ করা যায়। নিচে এর প্রধান সুবিধাগুলো আপনাদের বলি,
১. সহজ ব্যবহার
গুগল ওয়ার্কস্পেস ব্যবহার করা খুবই সহজ। এর ইন্টারফেস বা Design এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে যে কেউ শিখে নিতে পারে।
২. সহযোগিতা
গুগল ওয়ার্কস্পেসের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি একসাথে একই ডকুমেন্টে কাজ করতে পারে। যেমন, Google Docs-এ সবাই মিলে একসাথে লিখতে, এডিট করতে এবং কমেন্ট করতে পারে। এটি টিমওয়ার্ক বা দলগত কাজের জন্য খুবই উপকারী।
৩. মোবাইল অ্যাক্সেস
গুগল ওয়ার্কস্পেসের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে আপনার ফাইল দেখতে বা সম্পাদনা করতে পারবেন। এটি কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়।
৪. ইন্টিগ্রেশন বা সংযোগ
গুগল ওয়ার্কস্পেস খুব সহজেই গুগলের অন্যান্য সেবা যেমন Gmail, Google Calendar, Google Meet, Google Drive-এর সাথে সংযুক্ত হয়। এতে কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সহজ হয়।
৫. সুরক্ষা
গুগল ওয়ার্কস্পেসে শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। আপনার ফাইল এবং ডেটা নিরাপদ রাখতে এটি এনক্রিপশন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এতে আপনি নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন।
G Suite এবং Google Workspace এর পার্থক্য কি?
G Suite এবং Google Workspace দুটোই একই যা গুগল ব্যবসার সুবিধার জন্য প্রদান করে।
● Google Workspace হলো G Suite এর নতুন version।
● G
Suite ছিল
গুগলের প্রথম নাম, যা
ব্যবসার জন্য ক্লাউড-ভিত্তিক পণ্য সরবরাহ করত। এতে ছিল Gmail,
Drive, Docs, Sheets, Slides, Calendar এবং Meet।
● Google
Workspace হলো G Suite-এর নতুন Version । এখানে প্রায় সমস্ত অ্যাপস কে
এক জায়গায় নিয়ে আসে।
● Google
Workspace-এ
বিভিন্ন টুলসের মধ্যে আরও ভাল ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা টিমদের একসাথে কাজ করার
সুবিধা দেয়।
Google Workspace Apps এর তালিকা গুলি কি?
1. Google Drive
2. Gmail
3. Google Meet
4. Google Admin
5. Google Chat
6. Google Sheets
7. Google Slides
8. Google Docs
9. Google Cloud Search
10. Google Keep
11. Google Calendar
12. LumApps
13. Google Contacts
14. Google Voice
15. Google Cloud Platform
16. Google Tasks
17. Google Device Policy
18. Jamboard
19. AODocs
Gemini for Workspace কি?
Gemini for Workspace হলো একটি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট যা আপনার কাজকে আরও সহজ এবং
দ্রুত করতে সাহায্য করে।
এর
সাহায্যে -
● Gemini
দিয়ে
ডকুমেন্ট বা ইমেইল খসড়া তৈরি, সম্পাদনা, এবং সংশোধন করা যায়।
● স্প্রেডশিটের
জন্য টেবিল বা ডাটা অর্গানাইজ করতে পারা যায়।
● স্লাইডে
যোগ করার জন্য নিজের ইচ্ছেমতো ছবি তৈরির করতে পারে।
গুগল অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট কী?
গুগল অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট হলো একটি বিশেষ অ্যাকাউন্ট, যা দিয়ে একটি স্কুল বা অফিসে সবার জন্য গুগলের পরিষেবাগুলো যেমন Gmail, Google Drive, Google Meet নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই অ্যাকাউন্ট সাধারণত সেই ব্যক্তির কাছে থাকে, যিনি পুরো সিস্টেম দেখাশোনা করেন।
উদাহরণ:
1. স্কুলে:
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা আইটি শিক্ষক অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে:
সংক্ষেপে:
গুগল অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট হলো একটি "মাস্টার চাবি," যা দিয়ে অফিস বা স্কুলের জন্য গুগলের সব পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
গুগল অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট দিয়ে কি কাজ হয় ?
Google Admin Account হলো একটি টুল, যেটি Google Workspace Management করার জন্য ব্যাবহার করা হয়।
এটি শুধুমাত্র Google Workspace-এর অ্যাডমিন বা পরিচালকের (admin) জন্য প্রযোজ্য।
গুগল অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট দিয়ে ১০টি কাজ
গুগল অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট দিয়ে ১০টি কাজ যেগুলো করা যায়:
1. নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি:
স্কুল
বা অফিসের শিক্ষার্থী, শিক্ষক
বা কর্মীদের জন্য নতুন গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা।
2. পুরোনো অ্যাকাউন্ট মুছা:
যারা আর প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করছে না, তাদের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা।
3.
পরিষেবা
চালু বা বন্ধ করা:
Gmail, Google Drive, Google Meet ইত্যাদি ব্যবহার চালু বা বন্ধ করা।
4.
পাসওয়ার্ড
ঠিক করা:
কেউ পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সেটি পুনরায় সেট করা।
5.
নিরাপত্তা
বাড়ানো:
অ্যাকাউন্টের জন্য দুই স্তরের সুরক্ষা (2FA) চালু করা এবং তথ্য সুরক্ষিত রাখা।
6.
ডিভাইস
নিয়ন্ত্রণ:
মোবাইল ও কম্পিউটারের মাধ্যমে কে কী ব্যবহার করবে তা নিয়ন্ত্রণ করা।
7.
স্টোরেজ
নিয়ন্ত্রণ:
Google Drive-এ কে কতটা জায়গা (storage) ব্যবহার করতে পারবে তা ঠিক করা।
8.
গ্রুপ
তৈরি করা:
অফিস বা ক্লাসের জন্য আলাদা গ্রুপ বা টিম তৈরি করা।
9.
বিলিং
ও পেমেন্ট ম্যানেজ করা:
গুগল পরিষেবার জন্য বিল ও পেমেন্ট পরিচালনা করা।
10.
ডেটা
সুরক্ষিত রাখা:
হারিয়ে
যাওয়া ডেটা পুনরুদ্ধার করা বা ব্যাকআপ রাখা।
এক কথায়,
গুগল অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট একটি প্রতিষ্ঠানকে গুগলের সব পরিষেবা সহজে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করার ক্ষমতা দেয়।
গুগল ওয়ার্কস্পেস ব্যবহার কারীর সংখ্যা কত?
গুগল ওয়ার্কস্পেস হল অনলাইনে কাজ করার জন্য একটি সহজ এবং কার্যকর সেবা, যেখানে জিমেইল, ডকস, শিটস, স্লাইডস, ক্যালেন্ডার, মিট, চ্যাট এবং ড্রাইভের মতো টুল রয়েছে।
● এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩ বিলিয়নের অর্থাৎ ৩০০ কোটি বেশি
মানুষ এটি ব্যবহার করে।
● গুগল
ওয়ার্কস্পেস সফটওয়্যার মার্কেটে ৫০% এর বেশি শেয়ার ধরে রেখেছে।
● ১৪.৫
মিলিয়নের বেশি ওয়েবসাইট এটি ব্যবহার করে, যা মাইক্রোসফট ৩৬৫ থেকে অনেক
বেশি।
● ৯
মিলিয়নের বেশি প্রতিষ্ঠান টাকা দিয়ে এই সেবা ব্যবহার করে।
● এর অ্যাপ ৫ বিলিয়নের বেশি লোক অ্যাপ ডাউনলোড করেছে।
গুগল
ওয়ার্কস্পেস খুব জনপ্রিয় কারণ এটি সহজ, দ্রুত এবং যেকোনো ডিভাইস থেকে
ব্যবহার করা যায়।
গুগল একাউন্ট কয় প্রকার ও কি কি?
Google অ্যাকাউন্ট মূলত দুই ধরনের হয়,
১. পার্সোনাল অর্থাৎ ব্যক্তিগত Google অ্যাকাউন্ট:
এটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়।
এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে Gmail, Google Drive, YouTube, Google Maps-এর মতো বিনামূল্যের সেবা পাওয়া যায়।
উদাহরণ:
আপনি যদি নিজের ব্যক্তিগত ছবি Google Drive-এ সংরক্ষণ করতে চান বা YouTube-এ ভিডিও দেখতে চান, তাহলে পার্সোনাল Google অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবেন।
২. Google Workspace অ্যাকাউন্ট:
এটি ব্যবসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য সংগঠনের জন্য তৈরি।
এতে উন্নত সিকিউরিটি, বেশি স্টোরেজ, এবং প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের মতো অতিরিক্ত সুবিধা থাকে।
Gmail, Google Drive, Google Docs, Google Sheets, Google Slides-এর মতো প্রোডাকটিভিটি টুলস অন্তর্ভুক্ত।
উদাহরণ:
যদি কোনো অফিস তাদের কর্মচারীদের জন্য আলাদা অফিসিয়াল ইমেল ঠিকানা (employee@company.com) ও ফাইল ব্যবস্থাপনার জন্য Google Drive ব্যবহার করে, তাহলে তারা Google Workspace ব্যবহার করে।
Google workspace ও Google account এর পার্থক্য কি?
Google Workspace এবং Google Account: পার্থক্য
Google Workspace এবং Google Account দুটোই গুগলের পরিষেবা, তবে এদের উদ্দেশ্য এবং ব্যবহার আলাদা।
Google Account (গুগল অ্যাকাউন্ট)
1. Google Account তৈরি করতে কোনো খরচ হয় না। এটি বিনামূল্যে Gmail, Google Drive, Google Docs, Google Sheets, এবং Google Slides-এর মতো পরিষেবা প্রদান করে।
2. ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন ইমেইল পরিচালনা, ফাইল সংরক্ষণ, এবং ব্যক্তিগত প্রকল্পের জন্য ডকুমেন্ট তৈরি করা।
3. এতে বেসিক ফিচার এবং সীমিত স্টোরেজ স্পেস থাকে।
Google Workspace (গুগল ওয়ার্কস্পেস)
1.এটি সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক পরিষেবা, একে ব্যবহার করার জন্য প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়।
2. ব্যবসা বা সংস্থার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে প্রোডাক্টিভিটি এবং সহযোগিতা বাড়ানো যায়।
3. এতে উন্নত ফিচার যেমন বেশি স্টোরেজ, কাস্টম ইমেইল ডোমেইন @company.com, উন্নত সিকিউরিটি এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কন্ট্রোল।
4. একটি ছোট ব্যবসা Google Workspace সাবস্ক্রাইব করেছে পেশাদার ইমেইল ঠিকানা, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, এবং কাস্টমার ডেটা সুরক্ষিতভাবে পরিচালনা করতে পারবে।
Google Account হলো ব্যক্তিগত কাজের জন্য একটি সাধারণ টুলবক্স, আর Google Workspace হলো ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য একটি পেশাদার টুলকিট।
আপনার প্রয়োজন এবং ব্যবহারের উপর নির্ভর করবে আপনি কোনটি বেছে নেবেন।
গুগল ক্লাউড প্রকল্প কি? Google Cloud project কি?
গুগল ক্লাউড প্রকল্প হল একটি গুরুত্বপূর্ণ এক অনলাইন টুল যা Google Cloud-এ আপনার সব গুরুত্বপুর্ণ তথ্য রাখার জায়গা।
এটা একটা কন্টেনার যেখানে আপনি ক্লাউডে কাজ করার জন্য বিভিন্ন রিসোর্স যেমন কম্পিউটার, ডেটাবেস, স্টোরেজ ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
Google Cloud প্রকল্পের উদাহরণ হলো,
ধরা যাক, আপনি একটি ই-কমার্স কোম্পানি চালাচ্ছেন। আপনার কাজের জন্য একটি Google Cloud প্রকল্প তৈরি করতে পারেন। এই প্রকল্পের মধ্যে বিভিন্ন রিসোর্স থাকবে, যেমন:
1. ভার্চুয়াল মেশিন (VM): আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সার্ভার তৈরি করতে।
2. ডেটাবেস: গ্রাহকদের অর্ডার, পেমেন্ট, এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করতে।
3. স্টোরেজ: পণ্যের ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য ফাইল সংরক্ষণ করতে।
4. API: গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিভিন্ন সেবা (যেমন পেমেন্ট গেটওয়ে) ব্যবহার করতে।
এভাবে, আপনার সমস্ত কাজ এবং রিসোর্স একটি Google Cloud প্রকল্পের মধ্যে থাকবে, যা আপনাকে সহজে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
Google workspace কি কি পরিষেবা দেয়?
Google Workspace হল একটি অনলাইন টুলস-এর সেট, যা অফিসের কাজ গুলো সহজ করে। এর প্রধান সেবাগুলো:
1. যোগাযোগ ও মিটিং করার জন্য:
Gmail: অফিস ইমেইল।
Google Chat: তাত্ক্ষণিক মেসেজিং।
Google Meet: ভিডিও মিটিং।
Google Calendar: মিটিং বা ইভেন্ট শিডিউল।
2. কাজ ও সহযোগিতা করতে:
Google Docs: ডকুমেন্ট তৈরি।
Google Sheets: স্প্রেডশীট ও হিসাব।
Google Slides: প্রেজেন্টেশন।
Google Forms: ফর্ম বা সার্ভে।
3. ফাইল সংরক্ষণ:
Google Drive: ফাইল জমা ও শেয়ার।
4. অন্যান্য টুলস:
Google Sites: সহজ ওয়েবসাইট।
Google Keep: নোট নেওয়া।
Google Vault: ডেটা সংরক্ষণ।
এই টুলগুলো দিয়ে আপনি সহজে এক গ্রুপ করে কাজ করতে পারেন এবং তাকে শেয়ারও করতে পারেন।
মোবাইলে কীভাবে গুগল workspace ব্যাবহার করা হয়?
আপনার মোবাইল ডিভাইসে Google Workspace ব্যবহার করা খুবই সহজ। এখানে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
১. মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন:
Google Play Store (অ্যান্ড্রয়েড) অথবা App Store (iOS) থেকে Google Workspace এর প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি ডাউনলোড করুন। এই অ্যাপগুলো হলো:
Gmail
Google Calendar
Google Drive
Google Docs
Google Sheets
Google Slides
Google Meet
Google Chat
২. ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহার করুন:
আপনার মোবাইলের ব্রাউজার দিয়ে সরাসরি Google Workspace এর সেবাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
Google Workspace মোবাইলে ব্যবহার করার সুবিধা:
যেকোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করুন এবং সহযোগিতা করুন।
মেইলের উত্তর দিন, মিটিং শিডিউল করুন, ডকুমেন্ট সম্পাদনা করুন—সবকিছু ডেস্ক ছাড়াই।
আপনার ফাইলগুলো যেকোনো ডিভাইস থেকে দেখতে ও আপনার টিমের সাথে কাজ করতে পারবেন।
গুগল ওয়ার্কস্পেস ব্যবহারের ১০টি সুবিধা কি কি?
গুগল ওয়ার্কস্পেস ব্যবহারের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা:
1. গুগল ওয়ার্কস্পেস দিয়ে Google Docs, Sheets, ও Slides-এ একসাথে কাজ করা যায়।
সহজ ফাইল শেয়ারিংকরা হয় ।
2. Gmail-এ পেশাদার ইমেইল পরিষেবা পাওয়া যায়।
Google Chat ও Meet ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক মেসেজিং, ভিডিও কল এবং স্ক্রিন শেয়ারিং করা যায়।
3. Calendar, Tasks, ও Keep-এর মতো টুল সময় এবং কাজের পরিকল্পনা সহজ করে।
মোবাইল দিয়ে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যায়।
4. ডাটা এনক্রিপশন এবং টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের মতো সুবিধা তথ্য সুরক্ষিত রাখে।
অ্যাডমিন কন্ট্রোল দিয়ে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ও ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
5. ছোট বড় সব ধরনের ব্যবসার জন্য এটি সুবিধা দেয়, বিভিন্ন দামের পরিকল্পনা দিয়ে থাকে।
Google নিজেই সার্ভার পরিচালনা করে টায় এর খরচ কম ও সুরক্ষা অনেক বেশী।
6. Google Forms দিয়ে সহজে ফিডব্যাক সংগ্রহ করা যায়।
Google Meet দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করা যায়।
7. Google Drive ব্যবহার করে সমস্ত তথ্য, ফাইল, সুরক্ষিত করে এক জায়গায় রাখা যায়।
Google Sheets দিয়ে কাজের অগ্রগতি ও বাজেট ট্র্যাক করা যায়।
8. ইন্টারনেট সংযোগ থাকা যেকোনো ডিভাইস থেকে ফাইল অ্যাক্সেস ও এডিট করা যায়।
9. Google-এর অন্যান্য সেবা এবং 3rd party Apps সঙ্গে সহজে কাজ করা যায়।
এই সুবিধাগুলো Google Workspace-কে অত্যন্ত কার্যকর ও জনপ্রিয় করে তোলে!
Workspace কি শেয়ার করা হয় ?
হ্যাঁ, আপনি গুগল ওয়ার্কস্পেসে অন্যদের সাথে বিষয়বস্তু শেয়ার করতে পারেন:
ফাইল শেয়ার করা
আপনি গুগল ড্রাইভ, ডকস, শিটস, স্লাইডস এবং সাইটস এ ফাইলগুলো একসাথে একাধিক মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারেন গুগল গ্রুপ ব্যবহার করে।
ওয়ার্কস্পেস মানে কি?
"ওয়ার্কস্পেস" একটি শব্দ যাকে ব্যাবহার করা হয় সেই স্থানকে যেখানে আপনি কাজ করেন,।
যেমন , অফিসে আপনার ডেস্ক। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি আপনার কাজ করতে বসেন বা কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকে।
"Google Workspace" শব্দটি একরকম ডিজিটাল ওয়ার্কস্পেস। ঠিক যেমন একটি অফিসে আপনার ডেস্কে আপনি কাজ করেন, Google Workspace-এ আপনি অনলাইনে আপনার কাজ করতে পারেন।
এখানে আপনি ইমেইল পাঠানো, ডকুমেন্ট তৈরি করা, স্প্রেডশীট তৈরি করা, মিটিং করা, এবং আরও অনেক কিছু করতে পারেন, সবকিছু একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।
Google Workspace আসলে একটি অনলাইন "কর্মক্ষেত্র" বা ডিজিটাল ওয়ার্কস্পেস, যেখানে আপনি এবং আপনার টিম সদস্যরা একসাথে কাজ করতে পারেন, তথ্য শেয়ার করতে পারেন, এবং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।