অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করার সেরা ১০ টি টিপস |
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট করার সেরা ১০ টি টিপস ২০২৪: আপনার মোবাইল কি ধীর গতেতে কাজ করছে?কোনো অ্যাপস চালু হতে অনেক সময় নিচ্ছে?বা ইন্টারনেট ব্যবহার করলে পেজ খুলতে চায়না ইত্যাদি সব সমস্যার সহজ সমাধান আজকে এই article কে দিলাম যা আপনার মোবাইলএর Speed অবশই বাড়িতে দেবে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট রাখার উপায় (10 Ways to Make an Android Faster in Bangla)
নিচে কিছু সহজ ও জনপ্রিয় উপায় আছে যা দিয়ে আপনার স্লো ফোন কে স্পিড করতে পারবেন-
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফাস্ট রাখায় ১০টি টিপস্ |
1. মোবাইল কে রিস্টার্ট করুন:
আপনার মোবাইল কে ফাস্ট রাখার জন্য সবচেয়ে সহজ ও
গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো যে আপনি রোজ নিজের ফোন কে এক বার রিস্টার্ট করেন।
এর অনেক গুলো লাভ আছে যেমন, ব্যাটারী ভালো থাকবে,
মোবাইল ফাস্ট কাজ করবে, অন্যান অ্যাপস গুলো ভালো ভাবে কাজ করবে,এমনকিই যদি আপনার
ফোনকে হক হবার থেকে অনেকটা সুরক্ষা করে।
খুব সহজেই নিজের ফোন কে রিস্টার্ট করতে পারেন – আমরা
যখন মোবাইল অফ করি তখন Reboot বা Restart নাম এক অপসন আসে সেখানে Click করে Restarted করা যায়।
2. অপ্রোজনীয় এপ্লিকেশন আনইনস্টল:
কম RAM যুক্ত মোবাইল এ অনেক বেশি Apps Install করে রাখলে ফোন Slow হয়ে যায়, তবে যে সব অ্যাপস আপনি ব্যবহার করেন সেগুলো ছাড়া বাকি
সমস্ত অ্যাপস কে Uninstall করে দেন।
3. ফোন কে আপডেট করা:
কোম্পানি তরফ থেকে প্রায় সমস্ত ফোন কে কয়েক মাস
অন্তর আপডেট করার জন্য অনুরোধ করে। নিয়মিত ফোন কে যদি আপডেট করা হয় তাহলে
ফোন এর গতি অনেকটা বেড়ে যাবে এবং হক হবার থেকেও বাঁচা যায়।
Setting>About Phone থেকে ফোন আপডেট করার অপসন
পেয়ে যাবেন। অথবা কোনো কোনো ফোনে System নাম অপসন এ থাকে।
4. Clear Cache Data and Force Stop করা :
একমাস বা দুই মাস অন্তর প্রত্যেক অ্যাপস এর cache
data কে পরিস্কার করতে হবে। আমরা যখন কোনো অ্যাপস ব্যবহার করার পর
বন্ধ করে দি তার সত্তেও background কে সেই অ্যাপস গুলো চলতে থেকে।যার ফলে ব্যাটারী সাথে সাথে ফোন কেও স্লো করে দেয়। তার জন্য নিয়মিত Force Stop এবং Cache Data কে পরিস্কার রাখতে হয়।
Setting > অ্যাপস তারপর এক এক করে সব অ্যাপস এর
Force Stop এ ক্লিক করতে হবে এবং Clear Cache এ click করতে হবে।
তাছাড়া যেকোনো অ্যাপস কে কিছুক্ষণ টিপে ধরে রাখলে
App Info নাম এক অপসন আসবে সেখানে থেকেও force stop ও clear cache করা যায়।
5. অ্যাপস Updated :
মাসে কয়েক বার প্রায় সমস্ত অ্যাপস এর আপডেট
কোম্পানি দেয়।আপনাকে সেই সব অ্যাপস কে updated রাখে হবে যেগুলো আপনি ব্যবহার করেন। এতে ফোন এর গতি বাড়ার সাথে সাথে হক হবার সম্ভননাও অনকেটা কমে যায়।
6. Lite Weight Version অ্যাপস ব্যবহার করুন:
আমরা যে সমস্ত অ্যাপস ব্যবহার করি প্রায় সমস্ত অ্যাপস
এর এক Lite Version অ্যাপস থাকে। সেই lite অ্যাপস কে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ফোন দ্রুত কাজ করে। যেমন, Facebook Lite, Instagram Lite,
Moj Lite, Snapchat Lite ইত্যাদি।
এই লাইট ভার্সন অ্যাপস এর অনকে সুবিধা আছে,যেমন
অনেক কম net দরকার পরে, ফোনের কম জায়গা নেয়, সাধারণ অ্যাপস এর সমস্ত সুবিধা পাওয়া
যায়, তারাতারি ওপেন হয়।
7. SD Card এর ব্যবহার :
আমাদের ফোন যে সমস্ত file আছে যেমন ফটো, ভিডিও,
সিনেমা, গান,ইত্যাদি সব কে রাখতে হলে ফোনের মেমরিতে save করে না রেখে SD Card বা
memory card এ রাখলে অনেক ভালো হয়। এতে আপনার ফোনে চাপ অনেকটা কমে যায় এবং
ফোন ভালো ভাবে কাজ করে।
8. Delete অপ্রয়োজনীয় ফাইলস:
আমাদের প্রত্যেক মোবাইলে অনেক অপ্রোজনীয় ফাইল
থাকে যেগুলো কোনো দিনও কাজে লাগেনা যমন কিছু ছবি, গান, ভিডিও, বড় বড় PDF
ইত্যাদি,সেগুলি ডিলিট দরুন,এতে ফোনের
স্পিড বেড়ে যাবে এবং মোবাইল এর জায়গাও বেড়ে যাবে।
9. Live Wallpaper এর ব্যবহার :
অনেক সময় আমরা নিজেদর ফোন এর screen কে ভালো
দেখানোর জন্য LIve Wallpaper লাগিয়ে রাখি,কিন্তু এর ফলে অজান্তে অনেক অসুবিধা হয়। আপনার ফোন এর গতি তো কমবেই তার সাথে সাথে আপনের ব্যাটারীও অনেকটা
তারারই শেষ হয়। তাই যতটা সম্ভব লাইফ ওয়ালপেপার এড়িয়ে চলুন এবং হালকা lite wallpaper
ব্যবহার করুন।
10. ফোনের Malware চেক:
উপরে দেওয়া সমস্ত সেটিং করার সাথে সাথে হ্যাকিং
এর থেকে ফোনে কে সুরক্ষিত রাখার জন্য ফোনের Malware চেক অবস্যই করে নিতে হবে।এর জন্য এক ছোট ধাপ মানতে হবে।
1. Google Play Store > 2. Profile বা Menu icon(যেটা ডানদিকে উপরে থাকে)>3. Go to Play Protect >4. lick Scan। 5. scan করার পর যদি আপনার মোবাইল কোনো ক্ষতিকারক অ্যাপস খুঁজে পায় তাহলে সেটি ডিলিট বা রিমুভ করতে পারেন।
বন্ধুরা, আপনাদর আরেকটা কথা জানিয়ে দি যেটা খুবই
গুরুত্ব পূর্ণ যেটা হইতো অনেকেই জানা নেই যে,অনেক সময় কোম্পানিই নিজ থেকে ইচ্ছা
করে সমস্ত পুরনো ফোন কে স্লো করে দেয়। এর কারণ হলো কোম্পানি যে প্রতিনয়ত নতুন
নতুন ফোন বের করছে তাকে সেল করার জন্য যত পুরনো মডেলের ফোনকে স্লো করে দেয়।
যদি আপনার ফোনে কোনো সমস্যা না হয় তবে আপনি নতুন
ফোন কিনবেন না তাই এই tricks কোম্পানি ব্যবহার করে থেকে সেল করার জন্য।
উপসংহার:
আশাকরি আপনাকে এই পোস্ট ভালো লেগেছে। আপনি যদি নিয়মিত উপরে দেওয়া টিপস কে দেখে সেটিং করেন তাহলে অবশই
আপনার ফোন আগের থেকে অনেকটা দ্রুত গতিতে কাজ করবে। মনে রাখবেন সব সমস্যার সমাধান আছে, দরকার শুধু সমাধান খোঁজার। এর www।techbpage।com
ওয়েবসাইট কে মোবাইল ও টেকনোলজি সম্পর্কে সমস্ত সমাধান,ও নতুন খবর জানতে পারেন।
FAQs : ফোন ফাস্ট করার উপায় ২০২৪
১। ফোন কেন ধীর হয়ে যায়?
ফোন রিস্টার্ট না করা।
অপ্রোজনীয় apps রাখা।
cache ডাটা পরিস্কার না করলে।
মেমরি কার্ড ব্যবহার না করলে।
অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে না ফেললে।
২। ফোনে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করলে কি সুবিধা হয়?
ক্লাউড স্টোরেজ এ মোবাইল এর
সমস্ত ফাইলস কে রাখলে ফাইলস সুরক্ষিত থাকার সাথে সাথে ফোনের গতি বাড়বে এবং হ্যাং
হবার সম্ববনা কম থাকে।
৩। মোবইলের স্পিড কমে যাবার প্রধান কারণ কি?
বেশি পরিমানে app ইনস্টল করা রাখলে,
ফোন সময় সময় মত রিস্টার্ট
না করলে
cache memory বা data মুছে না
ফেললে।
৪। ফোনের স্টোরেজ পরিস্কার করার উপায় কি?
অপ্রয়োজনীয় ফাইলস গুলিকে
সরেয়ে ফেলতে হবে,
ফোনে sd card বা memory card ব্যবহার করুন।
৫। ফোনের গতি বাড়ানোর জন্য ফোনের কি সেটিং করতে হবে?
ডেভেলপার অপসন এ গিয়ে
অ্যানিমেশন স্কেল টি কমিয়ে দিন।
৬। মোবাইল পুরনো হয়ে গেলে কি ধীর হয়ে যায়?
হ্যা,পুরনো ফোনের হার্ডওয়্যার অনেকসময় নতুন apps বা নতুন ভার্সন apps
সাথে ঠিক মত তাল মিলিয়ে
চলতে পারে না,যার ফলে ফোনে ধীর হয়ে কাজ করে।
৭. স্টোরেজ স্পেস কিভাবে পরিস্কার করব?
এর জন্য যত অপ্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও,গান, ডকুমেন্টস ইত্যাদি সমস্ত ফাইলস গুলিকে মুছে ফেলতে হবে.
৮. ফোন রিস্টার্ট করার নিময় কি?
ফোন রিস্টার্ট করার নিয়ম বলতে আপনাকে রোজ এক থেকে দুই বার নিজের ফোনকে
রিস্টার্ট করতে হবে.